৬৪৭- যাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভরসা আর্জেন্টিনার, সেই লিওনেল মেসি বিশ্বকাপে গোল পাননি ৬৪৭ মিনিট। এই সময়ের মধ্যে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ দুটি ম্যাচও অন্তর্ভুক্ত। তার শেষ বিশ্বকাপ গোল ছিল ২০১৪ সালে গ্রুপের শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে। আফ্রিকান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে গোল করেন তিনি। তারপর ব্রাজিল বিশ্বকাপে চারটি নকআউট ম্যাচ খেলেছেন মেসি, যার মধ্যে তিনটি গেছে অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু পাননি গোলের দেখা। এবারের বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ খেললেও হতাশ থাকতে হলো তাকে।
২৭০.৮- সব ধরনের প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনার জার্সিতে মেসির গড় গোল এসেছে প্রতি ৯৩.৩ মিনিটে। কিন্তু বিশ্বকাপে সেই হার তিনগুণ বেশি। বিশ্ব আসরে তার গোল এসেছে প্রত্যেক ২৭০.৮ মিনিটে। রাশিয়ায় তিনি শট নিয়েছেন ১২টি, কিন্তু গোল পাননি। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে তার শট মাত্র ১টি, প্রতিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে দুইবার বলে পা লাগাতে গিয়েও পাননি লক্ষ্যের দেখা।
১১- বিশ্বকাপের ১১ আসর পর প্রথমবার আর্জেন্টিনা ব্যর্থ হলো তাদের প্রথম দুই ম্যাচ জিততে। ১৯৭৪ সালে তারা ৩-২ গোলে হেরেছিল পোল্যান্ডের কাছে, তারপর ইতালি ১-১ গোলে রুখে দেয় তাদের। তারপর থেকে প্রত্যেক বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচের অন্তত একটি জিতেছে তারা। এই সময়ে কেবল একবার গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছিল আর্জেন্টিনা, ২০০২ সালে।
৬০- বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ৬০ বছরে প্রথমবার এত বড় ব্যবধানে হারল আর্জেন্টিনা। ১৯৫৮ সালে চেকোস্লোভিয়ার কাছে ৬-১ গোলে গ্রুপ ম্যাচে হেরেছিল তারা। ওইবার বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবার গ্রুপ পর্বে ছিটকে গিয়েছিল আর্জেন্টাইনরা। যেই তেতো স্বাদ তারা পেয়েছে কেবল আর দুইবার- ১৯৬২ ও ২০০২ সালে।